পড়াশুনা

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF) | মাসি পিসি গল্পের MCQ

Masi Pisi Golper Srijonshil Proshno Uttor PDF & MCQ

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF) | মাসি পিসি গল্পের MCQ (Masi Pisi Golper Srijonshil Proshno Uttor PDF & MCQ)। মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর! সৃজনশীল লেখা সাহিত্য শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু ছাত্রছাত্রীদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, বরং তাদের ভাষার ব্যবহার ও কল্পনাশক্তিকেও আরও পরিণত করে। “মাসি-পিসি” একটি পরিচিত গল্প, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি মজার ও শিক্ষণীয় গল্পের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষাকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করে তোলে।

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF) | মাসি পিসি গল্পের MCQ (Masi Pisi Golper Srijonshil Proshner Uttor & MCQ PDF)
মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF) | মাসি পিসি গল্পের MCQ (Masi Pisi Golper Srijonshil Proshner Uttor & MCQ PDF)

গল্পটি দুই চরিত্র মাসি এবং পিসির কাহিনি নিয়ে আবর্তিত, যেখানে তাদের হাস্যকর কাণ্ডকারখানা ও মজাদার কথোপকথনের মধ্য দিয়ে আমরা জীবনের নানা শিক্ষণীয় বিষয় বুঝতে পারি। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই গল্প একটি চমৎকার উদাহরণ। আজকের এই ব্লগে আমরা “মাসি-পিসি” গল্প থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিতে হয়, তা বিশ্লেষণ করব।

মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বাপ-মা মরা অভাগী মেয়ে প্রতিমা দরিদ্র কাকা-কাকির কাছে বড় হয়েছে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে অনেক কষ্টে ভাই-ঝিকে বিয়ে দেন কাকা। অভাগী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতেও সুখের নাগাল পায় না। কারণ, তার কাকার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য স্বামী- শাশুড়ি তার ওপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি অন্তঃসত্তা জেনেও তার স্বামী একদিন মারধর করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরে আসলে, প্রতিমা কোনোরকমে পালিয়ে কাকা- কাকীর কাছে চলে আসে। ভাইঝির এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাকা-কাকী সিদ্ধান্ত নেয়, অমন শ্বশুরবাড়িতে তাকে আর পাঠাবে না তারা।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বেঁচেছিলেন?
খ. “যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি” ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রতিমার সাথে “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. “অর্থলিপ্সা মানুষকে পরিপূর্ণ পশু করে তোলে -উদ্দীপকে ও “মাসি-পিসি” গল্পে এ সত্যটি সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশিত হয়েছে” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : বকুল যখন স্বামীহারা হয়, তখন তার মেয়ে পারুলের বয়স দুই বছর। একদিকে অর্থকষ্ট, অপরদিকে বদলোকের কুদৃষ্টি। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে, খেয়ে না খেয়ে মেয়েটাকে বড় করে বকুল। একসময় মেয়ের বিয়েও দেয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অত্যাচারী স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছেদ করে মায়ের কাছে ফিরে আসে পারুল। সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য মেয়ে পারুল হয় বকুলের অবলম্বন। মায়ের জীবন- সংগ্রাম দেখে বড় হওয়া পারুল মায়ের চেয়ে সাহসী এবং আত্মমর্যাদাশীল । বাড়ির পাশে শাক-সবজি চাষ করে, ঘরে হাস-মুরগী পালন করে, ধান ভেনে, কীথা সেলাই করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে মা ও মেয়ে। যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জীবন বলি রাখার দৃঢ় প্রত্যয় বকুল ও পারুলের চাল চলনে।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে’ – কার, কেন?
গ. উদ্দীপকের পারুলের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদীর চারিত্রিক বৈপরীত্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মন্তব্য ধারণ করে- তোমার মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মরিশাসে চাকরি করেন। একমাত্র মেয়ে আঁখিকে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় মামার বাড়িতে রেখেছিলেন। বাড়িতে ছিল মামা-মামি ও মামাত ভাই তরিকুল । গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর স্টেশনে ব্যাগের ভেতর আঁখির লাশ পাওয়া যায়। আঁখির নিখোঁজ হওয়ার পরে দাফন-কাফন সর্বত্র ছিল তরিকুলের পদচারণা । ইতোমধ্যে তরিকুল গ্রেফতার হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দিতে বলেছে যে, সেদিন বাসায় আঁখির মামা-মামি ছিল না। জীখিকে একা পেয়ে সে পাশবিক নির্যাতন করে গলা টিপে হত্যা করে।

ক. সালতি কী?
খ. বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেয়ার ফাকে ফাকে আহ্লাদির দিকে তাকায় কেন?
গ. “মাসি-পিসি” গল্পের মাসি-পিসির দায়িত্ববোধের সাথে উদ্দীপকের মামা-মামির দায়িত্ববোধের তুলনা করো?
ঘ. “যুগের উন্নতি হলেও নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি” – মন্তব্যটি “মাসি-পিসি” গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : যুবতী নবিতুন ‘সারেং বৌ’ উপন্যাসের নায়িকা। জীবিকার তাগিদে স্বামীকে দূর পথে বছরের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়। চারপাশের অশুভ ইঙ্গিত তাকে যখন তখন তাড়া করে বেড়ায়। আছে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ । আত্মবিশ্বাস, সাহস, বুদ্ধিমতা আর দৃঢ়তা দিয়ে সবকিছু জয় করে সে। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আর সুন্দর জীবনের স্বপ্ন তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়।

ক. কে বাঘের মতো ছিল?
খ. “সোয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই’ – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নবিতুনের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের নবিতুন “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদির বিপরীত” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : স্বামী পরিত্যক্তা রানুকে স্নেহ-মমতা-সাহস দিয়ে আগলে রেখেছে তার খালা আনোয়ারা। আনোয়ারা বিধবা হলেও ছোটখাটো একটা ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। তার স্পর্ধা ও দৃঢ়তা দেখে এলাকার কেউ রানুর দিকে চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পায় না।

ক. কে সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়?
খ. কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে মাসি-পিসি – কেনো?
গ. উদ্দীপকে “মাসি-পিসি” গল্পের কোন দিকটি উঠে এসেছে? আলোচনা করো।
ঘ. অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে নারীর অবস্থান বদলে যায়’ – উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই মানবসভ্যতা আজ এতদূর প্রসারিত। নারীকে উপেক্ষা করে কোনো সভ্যতা সৃষ্টি হতে পারে না। নারীকে তার আপন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে দরকার পুরুষের সহযোগিতা । কিন্তু এই পুরুষের হীন মানসিকতার কারণেই কখনো কখনো নারীকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। বেছে নিতে হয় কঠিন জীবন, হতে হয় সাহসী ও প্রতিবাদী।

ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয় – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের হীন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের কার বা কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি “মাসি-পিসি” গল্পে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ :
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল নাকো, নারীরা আছিল দাসী ।
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দি কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি।

ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে কী গাছের ছায়ায় তিন-চারজন ঘুপটি মেরে আছে?
খ. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে” – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের চেতনাগত সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পে অধিকার-আদায়ে নারীর সাহসী ভূমিকার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে” মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : মালিহা আর স্বামীর ঘরে যেতে চায় না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তার বিয়ে হয়েছিল আমতলীর রাশেদের সাথে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কারণ তার স্বামী ছিল অত্যন্ত বদমেজাজী, মদ ও জুয়ায় আসক্ত, যা সে জানতো না। কথায় কথায় সে তার গায়ে হাত তুলতো, ঠিকমতো খেতেও দিত না। অত্যাচারে, অনাহারে মালিহার শরীর ভেঙে যায়। সে আর থাকতে পারে না সেখানে । ফিরে আসে বাবার বাড়ি, স্বামী তাকে বেশ কয়েকবার নিয়ে যাওয়ার জন্য এলেও সে যায়নি। তার বাবাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়েকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবে না।

ক. মাসি-পিসি কীসের উপোস করছে?
খ. যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে”মাসি-পিসি” – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রাশেদ “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ -ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদি ও উদ্দীপকের মালিহা যেন একই পরিস্থিতির শিকার – বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : আব্দুল মালেকের কিশোরী মেয়েটা এবার বাপের বাড়ি এসে কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চাচ্ছে না। যৌতুকের টাকা না দিতে পেরে মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না। আবদুল মালেক এ ব্যাপারে মেয়ের ওপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেন না। বরং প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এবং নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

ক. ‘সোমত্ত’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কানাইয়ের লোকজন খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় কেন?
গ. উদ্দীপকের আব্দুল মালেক “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পের চেতনা অভিন্ন – যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : জেলেপাড়ার জীবন যেমন স্থবির ঠিক তেমনি স্থবির হাসুর মায়ের সংসার । মাছ ধরতে গিয়ে তার স্বামী আর ফিরে আসেনি; তাও পার হয়ে গেছে চার চারটি বছর। বড়ো মেয়ে হাসু আর ছোটো মেয়ে রাসুকে নিয়ে কোনমতে তার দিন কাটে । রাসুকে জমিদার বাড়িতে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে ডুবন মাঝির মেয়ে ফুলি। হাসুকেও দিতে বলেছিল কিন্তু জমিদারের নায়েবের হাসুর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি হাসুর মায়ের চোখ এড়ায়নি। হাসু ঘরে বসেই ডালের বড়ি, আচার, তাল পাতার পাখা বানিয়ে মায়ের হাতে দেয় বাজারে বিক্রির জন্য । প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুই মেয়েকে নিয়ে এভাবেই কাটে হাসুর মায়ের জীবন।

ক. চায়ের দোকানে কৈলাশের সাথে কার দেখা হয়েছিল?
খ. নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে – কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে “মাসি-পিসি” গল্পের সাদৃশ্য লেখো।
ঘ. দারিদ্র্যকে জয় করে নারীর অস্তিত্ব রক্ষার যে বাস্তব চিত্র উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পে উঠে এসেছে – তা মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : স্বামীর মৃত্যুর পর রাহেলা বেগম নিজেই সংসারের ভার কাঁধে তুলে নেয়। অনেক কষ্ট করে বাজারে একটি মুদি দোকান দেয়। সেই দোকান থেকে অর্জিত টাকা দিয়ে সংসারের খরচ, মেয়ের পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা সপ্চয়ও করেছে। কিন্তু ইদানীং রাহেলা বেগমের টাকা ও মেয়ের প্রতি নজর পড়েছে এলাকার ক্ষমতাবান ব্যক্তি সাজ্জাদের। সাজ্জাদ ও তার পোষা গুন্ডাদের হাত থেকে সম্পত্তি ও মেয়েকে রক্ষা করতে রাহেলা বেশ সচেতন ও সাহসী । ঝামেলা হতে পারে ভেবে তাই রাহেলা বেগম আগে থেকেই থানায় সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করে রাখে।

ক. আল্লাদির পরিবার কোন রোগে মারা যায়?
খ. বুড়ো রহমান ছলছল চোখে আহ্লদির দিকে তাকায় কেন?
গ. উদ্দীপকের সাজ্জাদ “মাসি-পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তা আলোচনা করো।
ঘ. “সংগ্রাম ও সাহসিকতায় রাহেলা ও “মাসি-পিসি” গল্পের মাসি ও পিসি একসূত্রে গাথা”- তোমার মতামত ব্যক্ত করো।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর (PDF) ডাউনলোড

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

যারা দুর্বল, যারা সাধারণ তাদেরকে নানা প্রকার প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়। অন্যায়কারী দুর্বলকে খোজে অন্যায় করার ললাভে। দুর্বল হয়তাে কখনাে মাথা পেতে নেয়, সহ্য করে । কিন্তু দুর্বল যেদিন জেগে ওঠে, ক্ষেপে যায়, সেদিন অসুরের শক্তি ভর করে তাদের শরীরে।

ক. বুড়াে রহমানের মেয়ে কোথায় মারা গেছে?
খ. মাসি-পিসি হাতে কাটারি-বঁটি তুলে নিয়েছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকে যাদের দুর্বল বলা হয়েছে, তাদের সাথে মাসি-পিসির সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. দুর্বল ক্ষেপে গেলে দুর্বার সাহসী হয়ে ওঠে’- উক্তিটি উদ্দীপক ও মাসি-পিসি’ গল্পের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল উত্তর (১)

ক.  বুড়াে রহমানের মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে।

খ. রাত্রি বেলায় কানাই চৌকিদার মাসি-পিসিকে জোর করে কাছারিবাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে এর প্রতিবাদে তারা কাটারি-বঁটি হাতে তুলে নিয়েছিল। ‘আহ্বান’ গল্পে দুজন বিধবা নারী চরিত্র হলাে মাসি-পিসি। তারা আহ্লাদি নামের মেয়েটিকে নিয়ে জীবনসংগ্রামে লিপ্ত হয়। সম্পর্কে এরা আহ্লাদির মাসি-পিসি।অহ্লাদি অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়ে স্বামীর ঘরে যেতে চায় না। এই দিকে সমাজের দুষ্টলােকদের লােলুপ দৃষ্টি পড়েছে আহ্লাদির দিকে। কানাই চৌকিদার রাতে এসে মিথ্যে কথা বলে মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়িতে যেতে বলে যাতে করে সাধু, বৈদ্য, ওসমানেরা জোর করে আহ্লাদিকে তুলে নিতে পারে। এই সময় মাসি-পিসি প্রতিবাদ করে এবং হাতে কাটারি-বঁটি তুলে নেয়।

গ.  ক্ষমতাবানদের দ্বারা শােষিত-নির্যাতিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার দিক দিয়ে উদ্দীপকে যাদের দুর্বল বলা হয়েছে তাদের সাথে মাসি-পিসির সাদৃশ্য অনেক।
সমাজে পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষেরা অনেক সময় লােভী-প্রভাবশালী ও হীন মানসিকতার লােকদের শিকারে পরিণত হয় ।তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিতে উদগ্রীব হয় শােষকরা। উদ্দীপকে বলা হচ্ছে, যারা দুর্বল, যারা সাধারণ তাদের নানা প্রকার প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়। অন্যায়কারী দুর্বলকে খোজে অন্যায় করার লােভে। দুর্বল হয়তাে কখনাে মাথা পেতে নেয়, সহ্য করে । কিন্তু তারাও সময় জেগে ওঠে।

তখন তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলে। উদ্দীপকের এই দুর্বলদের সাথে মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসির অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। গল্পে মাঝি-পিসি হলাে অসহায় বিধবা দুজন নারী। সম্পর্কে তারা আহ্লাদি নামের কিশােরী বধূর মাসি-পিসি । আহ্লাদিকে নিয়ে মাসি-পিসির সংগ্রাম।

আরও পড়ুন  এইচএসসি ইতিহাস ১ম পত্র সাজেশন ২০২৪

তারা আহ্লাদিকে নেওয়ার জন্য তার স্বামী জগু কৈলাশকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়ে। কিন্তু নির্যাতনের ভয়ে আহ্লাদিকে মাসি-পিসি যেতে দেয় না। আবার গ্রামে দুষ্ট কানাই চৌকিদার, গুণ্ড সাধু বৈদ্য, ওসমানদের লােলুপ দৃষ্টি পড়ে আহ্লাদির ওপর। সেখান থেকে আহ্লাদিকে সুরক্ষা দেয় মাসি) পসি। বঁটি কাটারি হাতে ধাওয়া করে কানাইকে। এসব দিক থেকে উদ্দীপকের দুর্বলদের সাথে মাসি-পিসির সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. দুর্বল ক্ষেপে গেলে দুর্বার সাহসী হয়ে ওঠে’- উক্তিটি উদ্দীপক ও মাসি-পিসি’ গল্পের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযােজ্য।

খেটে খাওয়া অসহায় মানুষেরা অনেক সময় শত কষ্ট, অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে। কিন্তু এক সময় তাদেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তখন তারা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে।উদ্দীপকে দুর্বল শ্রেণির কথা বলা হয়েছে যারা নানা প্রকার প্রতিকূলতা সহ্য করে । অন্যায়কারীরা দুর্বলদের খোঁজে অন্যায় হাসিল করার লােভে। এই সময় দুর্বল হয়তাে মাথা পেতে নেয়, সহ্য করে । কিন্তু এক সময় এরাও জেগে ওঠে, প্রতিবাদে মুখর হয়। এই সময় যেন তাদের শরীরে অসুরের শক্তি ভর করে।

একইভাবে আমরা মাসি-পিসি’ গল্পের বিধবা নারী মাসি-পিসি এবং আহ্লাদিকে সমাজ-পরিবার ও স্বামীর নানা অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে দেখি। কিন্তু এক সময় মাসি-পিসিকে চরম প্রতিবাদী হতেও দেখি যখন বাড়িতে কানাই চৌকিদার তাদের কাছারিবাড়ি যেতে বলে।কানাই, সাধু বৈদ্য, ওসমান মাসি-পসিকে বাড়ি । থেকে বের করে আহ্লাদিকে তুলে নিতে চায়। তখন মাসি-পিসি কাটারি, বঁটি হাতে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। উদ্দীপকে দুর্বলদের প্রতি শােষণ-নির্যাতন এবং এর বিরুদ্ধে তাদের সর্বাত্মক প্রতিরােধের কথা বলা হয়েছে।

মাসি-পিসি’ গল্পে এই দিকটি মাসি-পিসির সামাজিক অবস্থান, তাদের জীবনসংগ্রাম এবং অসহায় আহ্লাদিকে বিরূপ সমাজ তথা পৃথিবীর হাত থেকে রক্ষা করতে তাদের সাহসিকতা ও কর্মকাণ্ডের মাঝে ফুটে উঠেছে। সুতরাং বলা যায়, “দুর্বল ক্ষেপে গেলে দুর্বার সাহসী হয়ে ওঠে।”- উক্তিটি উদ্দীপক ও গল্পের আলােকে যথার্থ ।

মাসি পিসি গল্পের সৃজনশীল 

শৈশবে বাবা-মাকে হারিয়ে এক চাচার আশ্রয়ে থাকা আসমার জীবনে ঘটে যায় বাল্যবিবাহ। স্বামীর ঘরে অত্যাচার-নির্যাতন, পরে  তালাক। চাচার সহযােগিতা না পেলেও দমে যায়নি সে। টিউশন করে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে মাধ্যমিক | ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় লাভ করে ভালাে ফল। আসমা এখন মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী।

ক. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে চৌকিদারের নাম কী?
খ. আহ্লাদিকে দেখে বুড়াে রহমানের চোখ ছলছল করে ওঠে কেন?
গ. উদ্দীপকের চাচা ও মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি চরিত্রের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন কর।
ঘ. উদ্দীপকের আসমা এবং মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি উভয়েই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।”- আলােচনা কর।

মাসি-পিসি গল্পের সৃজনশীল উত্তর (২)

ক. উত্তরঃ ‘মাসি-পিসি’ গল্পে চৌকিদারের নাম কানাই।

খ. উত্তরঃ বুড়াে রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে। কারণ আহ্লাদিকে দেখে তার অল্পদিন আগে মরে যাওয়া মেয়ের কথা মনে হয়। বুড়াে রহমানের মেয়ে আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছােট এবং রােগাটে। অবুঝ ছােট মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের ভয়ে সেখানে যেতে চাইত না; কান্নাকাটি করত।

আরও পড়ুন  শিক্ষামূলক উক্তি ৬০টি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

তবু মেয়ের ভালাের কথা ভেবে বুড়াে রহমান তাকে জোর করে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিলে মেয়েটি সেখানে মারা যায়। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদিও শ্বশুরবাড়ি থেকে মাসি-পিসির কাছে চলে আসে। তাই আহ্লাদিকে দেখে বুড়াে রহমানের নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে এবং সে ছলছল চোখে আহ্লাদির দিকে তাকায়।

গ. উত্তরঃ উদ্দীপকের চাচা নিজের দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিলেও মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি-পিসি দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা সবসময় বৈষম্য ও নিযাতনের শিকার হয়। অনেক সময় তারা পরিবারের সাহায্য পায়, আবার কেউ নিদারুণ কষ্টে পতিত হয়।

মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হলে মাসি-পিসি তাকে আশ্রয় দেয়। মাসি-পিসি তাকে ভরণপােষণ ও | নিরাপত্তা দিতে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হয়। তারা আহ্লাদিকে সমাজের লালসা-উন্মত্ত মানুষদের কাছ থেকে রক্ষা করে। উদ্দীপকের পিতৃমাতৃহীন আসমাও চাচার আশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়। তাকে বিয়ে দেওয়া হলে যে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়।

চাচার দায়িত্বহীনতার কারণে তাকে বাল্যবিবাহের বলি হতে হয়। তালাকপ্রাপ্ত আসমা পরবর্তীতে চাচার কাছ থেকে কোনাে সহযােগিতাও পায়নি। এমনিক আসমাকে নিরাপত্তাও দেয়নি তার চাচা। কিন্তু মাসি-পিসি’ গল্পে মাসি-পিসি তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ পালন করেছেন। তাই বলা যায়, কর্তব্য পালন ও দায়িত্বশীল আচরণের দিক থেকে উদ্দীপকের চাচা এবং আলােচ্য গল্পের মাসি-পিসির মাঝে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. উত্তরঃ “উদ্দীপকের আসমা এবং মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদি উভয়েই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।”- মন্তব্যটি যথার্থ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। এই নির্দয় সমাজ-সংসারে তাদের সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। তবে অনেকেই এখন সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।

মাসি-পিসি’ গল্পে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ঘৃণ্য মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে আহ্লাদির নির্যাতিত ও মাসি-পিসিকে হয়রানি করার মধ্য দিয়ে। আলােচ্য গল্পে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্যাতিত নারীর প্রতিনিধিত্ব করেছে আহ্লাদি। উদ্দীপকেও নারীদের ওপর অত্যাচারে বিষয়টি লক্ষ করা যায়। পিতামাতাহারা আসমাকে শৈশবেই বিয়ে দেয় তার চাচা।

বাল্যবিবাহের বলি হওয়া আসমা স্বামীগৃহে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়। স্বামী তালাক দিলে এই অসহায় নারী চাচার কাছ থেকে কোনাে সহযােগিতা পায়নি। জীবনসংগ্রামে একাকী লড়াই করতে হয়েছে তাকে। উদ্দীপকের আসমা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নেতিবাচক মানসিকতার শিকার।

‘মাসি-পিসি’ গল্পে আদি পুরুষতান্ত্রিক সমাসের কাছে বার বার হয়রানি হয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে। পিতৃমাতৃহীন আহ্লাদিকে স্বামী উঠতে বসতে নির্যাতন করে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেই কেবল থামে না, পেটপুরে খেতেও পর্যন্ত দেয় না। বাঁচার তাগিদে বিধবা মাসি ও পিসির কাছে সে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেও দারােগা, জোতদার গুন্ডা-বদমাশদের লােলুপ দৃষ্টি পড়ে আহ্লাদির ওপর। উদ্দীপকের আসমাও স্বামীর নির্যাতনের শিকার। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের আসমা এবং আলােচ্য গল্পের আহ্লাদি উভয়ই নির্যাতিত নারী সমাজের প্রতিনিধি।

মাসি পিসি গল্পের MCQ 2025

১. মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জন্মস্থান কোথায়?
ক. মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর
খ. বিহারের পালামৌ
গ. আসামের কাছাড়
ঘ. বিহারের সাঁওতাল পরগনা

২. ‘তাঁর আসল নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।’ মানিক তাঁর-
ক. ডাকনাম
খ. বংশীয় নাম
গ. পদবি
ঘ. ছদ্মনাম

৩. বিক্রমপুর অঞ্চলটি কোন জেলায় অবস্থিত?
ক. নারায়ণগঞ্জ
খ. মুন্সিগঞ্জ
গ. মানিকগঞ্জ
ঘ. নরসিংদী

৪. জননী, চিহ্ন এগুলো কী?
ক. গল্পগ্রন্থ
খ. প্রবন্ধ সংগ্রহ
গ. উপন্যাস
ঘ. নাটক

৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মারা যান?
ক. ১৯৫৬
খ. ১৯৫৭
গ. ১৯৫৮
ঘ. ১৯৬০

৬. ‘১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর’ সময়ের দিক-
ক. উনিশ শতকের মাঝামাঝি
খ. বিশ শতকের সূচনা
গ. বিশ শতকের মাঝামাঝি
ঘ. বিশ শতকের সমাপ্তি

৭. ‘মাসি-পিসি’ গল্পটি কে লিখেছেন?
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
খ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ. তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়
ঘ. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

৮. খালে কাদা, ভাঙা ইটপাটকেল আর ওজনে ভারী আবর্জনা বেরিয়ে পড়ে গেছে কেন?
ক. জোয়ারের জন্য
খ. ভাটার জন্য
গ. সেচের কারণে পানি কমে গেছে বলে
ঘ. খালে বাঁধ দিয়ে জল শুকানোর জন্য

৯. সালতি থেকে ওদের মাথায় খড় তুলে দিচ্ছে কত জন?
ক. এক জন
খ. দুই জন
গ. তিন জন
ঘ. চার জন

১০. কৈলেশের মাথার চুল কেমন ছিল?
ক. কদমছাঁটা শুষ্ক
খ. বাটিছাঁটা রুক্ষ
গ. কদমছাঁটা রুক্ষ
ঘ. আধাপাকা রুক্ষ

১১. মাসি-পিসির কাপড়ের আঁচল কোমরে বাঁধা ছিল-
ক. তরকারি বিক্রি করছিল বলে
খ. সালতির লগি ঠেলছিল বলে
গ. কানাইয়ের সাথে ঝগড়া করছিল বলে
ঘ. ঘড় থেকে পানি আনছিল বলে

১২. প্রৌঢ়া বিধবা মানে-
ক. প্রবীণ স্মামীহীন নারী
খ. স্বামীহীন তেজস্বী নারী
গ. চল্লিশোর্ধ্ব স্বামীহীন নারী
ঘ. অল্পবয়সী স্বামীহীন নারী

১৩. নৌকা দিয়ে আসার সময় আহ্লাদির পরনে কী ছিল?
ক. নকশা পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি
খ. নকশাহীন দামি রঙিন শাড়ি
গ. রঙিন পাড়ের সস্তা সাদা শাড়ি
ঘ. নকশা পাড়ের সস্তা নীল শাড়ি

১৪. কার গলা ঝরঝরে আওয়াজ একটু মোটা?
ক. মাসির
খ. পিসির
গ. জগুর
ঘ. মাসি-পিসির

১৫. মাসি-পিসি দুজনে সালতির দুমাথায় থাকলে কৈলাশের খবরটা বলা সম্ভব নয় কেন?
ক. খবরটা গোপন বলে
খ. আহ্লাদি শুনে ফেলবে বলে
গ. তাদের দূরত্ব অনেক বেশি বলে
ঘ. কৈলাশকে জোরে বলতে হবে বলে

১৬. কৈলাশের কথা আহ্লাদি কান পেতে শোনে কেন?
ক. তার স্বামী খবর পাঠিয়েছে বলে
খ. স্বামীর কাছে সব ফাঁস করে দেওয়ার জন্য
গ. স্বামীর খবর জানতে কৌতুহলি বলে
ঘ. কৈলাশ তার স্বামীর বন্ধু বলে

১৭. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে চায়ের দোকান কোথায় অবস্থিত?
ক. শহরের বাজারে
খ. গ্রামের হাটে
গ. পুলের কাছে
ঘ. কাছারিবাড়ির পথে

১৮. নিজের যেচে আহ্লাদিকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর কথা কে বলেছিল?
ক. জগু
খ. কৈলাশ
গ. দারোগাবাবু
ঘ. বুড়ো রহমান

১৯. বুড়ো রহমান ছলছল দৃষ্টিতে আহ্লাদির দিকে তাকায় কেন?
ক. আহ্লাদির দুঃখে সমব্যথী হয়ে
খ. মমতাবোধে তাড়িত হয়ে
গ. আহ্লাদিক দেখে মেয়ের কথা মনে পড়ে বলে
ঘ. আহ্লাদির ওপর অত্যাচার হয় বলে

২০. কী বিক্রি করে মাসি-পিসি জগুকে ভালো-মন্দ দশটা জিনিস খাইয়েছে?
ক. সালতি
খ. গরু
গ. তরকারি
ঘ. ছাগল

২১. বুড়ো রহমানের মেয়েটা কত দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে মারা গেছে?
ক. অল্পদিন
খ. কিছুদিন
গ. অনেকদিন
ঘ. সম্প্রতি

২২. বুড়ো রহমানের মেয়েটা কেন শ্বশুড়বাড়িতে যেতে চায়নি?
ক. অল্পবয়স্ক অবুঝ ছিল বলে
খ. শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাবার কথা মনে পড়ত বলে
গ. শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের ভয়ে
ঘ. আহ্লাদির মতো পরিণতি হবে ভেবে

২৩. জগু কিসের জন্য মামলা করবে বলে কৈলাশের কাছে জানিয়েছে?
ক. সম্পত্তির জন্য
খ. বউ নেওয়ার জন্য
গ. মাসি-পিসির অন্যায় দখলদারিত্ব অবসানের জন্য
ঘ. জায়গা-জমির জন্য

২৪. কৈলাশের হুমকি শুনে মাসি-পিসি মুখ চাওয়া-চাওয়ি করল কেন?
ক. নিজেদের ভাবনার আদান-প্রদান করতে
খ. কৈলাশকে শায়েস্তা করতে
গ. জগুকে শায়েস্তা করতে
ঘ. আহ্লাদির জন্য চিন্তিত হয়ে

২৫. আহ্লাদির বাবা, মা, ভাই কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়?
ক. যক্ষা
খ. কলেরা
গ. ডায়রিয়া
ঘ. আমাশয়

২৬. মাসি-পিসি আহ্লাদির বাবার আশ্রয়ে মাথা গুঁজে আছে কত দিন?
ক. তিন বছর
খ. পাঁচ বছর
গ. দশ বছর
ঘ. অনেক দিন

২৭. “দুর ছাই সয়ে আর কুড়িয়ে পেতে খেয়ে।” এর মানে-
ক. কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাওয়া
খ. চুড়ান্ত অবহেলিত দিনযাপন করা
গ. গালাগাল আর কুড়িয়ে খেয়ে দিনযাপন
ঘ. দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করা

২৮. বছরের পর বছর ধরে মাসি-পিসি কিছু টাকা পুঁজি করেছিল কেন?
ক. আহ্লদিকে দেওয়ার জন্য
খ. দুঃসময়ে খরচের জন্য
গ. দুর্ভিক্ষে খরচের জন্য
ঘ. আহ্লাদির পিতাকে দেওয়ার জন্য

২৯. দুর্ভিক্ষের সময়ে মাসি-পিসিদের থাকাটা বরাদ্দ রেখে খাওয়াটা ছাঁটাই করার কারণ-
ক. অর্থনৈতিক সংকট
খ. সামাজিক সংকট
গ. পারিবারিক সংকট
ঘ. রাজনৈতিক সংকট

৩০. জগুর লাথির চোটে মরমর আহ্লাদি এসে বাপের বাড়ি হাজির হয়-
ক. দুর্ভিক্ষের আগে
খ. মহামারীর সময়ে
গ. দুর্ভিক্ষের সময়ে
ঘ. মহামারীর পরে

৩১. আহ্লাদি বাবা গলা কেটে রক্ত দিয়ে মাসি-পিসির ঋণ শোধ দিতে পারলেও অন্ন জোগান দিতে পারবে না কেন?
ক. অর্থনৈতিক সক্ষমতা নেই বলে
খ. তার চাকরি চলে গেছে বলে
গ. মহামারীতে আক্রান্ত বলে
ঘ. আহ্লাদির মা রাগ করবে বলে

৩২. মাসি-পিসিরা বাজারে তরিতরকারি বিক্রি করতে যায়-
ক. দুটো পয়সা উপার্জনের জন্য
খ. টাকা জমানোর জন্য
গ. আহ্লাদির বাবাকে ভরণপোষণের খরচ দেওয়ার জন্য
ঘ. অসুস্থ আহ্লাদিকে সুস্থ করার জন্য

৩৩. মাসি-পিসিরা সালতি বেয়ে কী বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়?
ক. খেতের তরিতরকারি
খ. গেরস্তের বাড়তি শাকসবজি-ফলমূল
গ. গাঁয়ের বাবুদের বাগানের কলা
ঘ. গেরস্ত বাড়ির সংগৃহীত ডিম, হাঁস-মুরগি

৩৪. বাবু বাসিন্দারা মাসি-পিসির কাছে বাগানের জিনিস বিক্রি করতে দেয়-
ক. নগদ টাকার জন্য খ. নগদ পয়সার জন্য
গ. বাড়তি আয়ের জন্য ঘ. উচ্চমূল্যে বিক্রি জন্য

৩৫. মাসি-পিসির মধ্যে ঐকান্তিক ভাব থাকার কারণ-
ক. তাদের চিন্তাভাবনা এক
খ. তাদের স্বভাব একই প্রকৃতির
গ. তাদের চেহারা এক
ঘ. তাদের বয়স ও অবস্থা এক

৩৬. আগে কারণে-অকারণে মাসির সঙ্গে পিসির কী বেধে যেত?
ক. কোন্দল
খ. ঝগড়া
গ. রেষারেষি
ঘ. হিংসা

৩৭. মাসির ওপর পিসির একটা অবজ্ঞা-অবহেলার ভাব থাকার কারণ-
ক. মাসিই প্রথমে তরকারি বিক্রির প্রস্তাব করেছে
খ. পিসির চেয়ে মাসিই আহ্লাদিকে বেশি ভালোবাসে
গ. দুর্ভিক্ষের সময় মাসিই তাদের পরিবারকে বেশি সাহায্য করেছে
ঘ. মাসি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে

৩৮. পিসির কোন বিষয়টি মাসির সবচেয়ে অসহ্য লাগত?
ক. হিংসা-দ্বেষ
খ. অহংকার-খোঁচা
গ. সন্দেহ-অবিশ্বাস
ঘ. রেষারেষি-কোন্দল

৩৯. আহ্লাদি ঘরে এসে পড়ায় মাসি-পিসির মধ্যকার মিল কী হলো?
ক. জমজমাট
খ. সুদৃঢ়
গ. শক্ত
ঘ. ভালো

৪০. মাসি-পিসির ওপর আহ্লাদির সব দায়িত্ব কেন?
ক. মা-বাবা নেই বলে
খ. তারা আহ্লাদিদের বাড়ি থাকে বলে
গ. আহ্লাদির বাবা তাদের খেতে দেয় বলে
ঘ. জগু আহ্লাদিকে নির্যাতন করে বলে

৪১. আহ্লাদির বাবার বেশিরভাগ সম্পদ কার দখলে গেছে?
ক. জগুর
খ. গোকুলের
গ. দারোগা বাবুর
ঘ. বড় বাবুর

৪২. আহ্লাদিকে একা রেখে কোথাও যেতে মাসি-পিসির সাহস হয় না কেন?
ক. একা পেয়ে কেউ তার ক্ষতি করবে ভেবে
খ. জগু তুলে নিয়ে যাবে ভেবে
গ. একা থাকতে আহ্লাদি ভয় পায় বলে
ঘ. তারা আহ্লাদিকে অনেক ভালোবাসে বলে

৪৩. “মাথায় তুলে রাখা” মানে-
ক. মাথার মধ্যে মারা
খ. খুব আদর-যত্ন করা
গ. বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া
ঘ. ঘৃণা-অবহেলা করা

৪৪. বাইরে দিন কাটলেও আহ্লাদির কোনো পরিশ্রম হয়নি কেন?
ক. শুয়ে-বসে ছিল বলে
খ. মাসি-পিসি কাজ করতে দেয়নি বলে
গ. মাসি-পিসি নিজেরাই নৌকা চালিয়েছে বলে
ঘ. আহ্লাদি নিজে থেকে কোনো কাজ করতে চায়নি বলে

৪৫. আহ্লাদির নিজেকে ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে কেন?
ক. গোকুলের ভয়ে
খ. মাসি-পিসির কাছে অনেকে দর হাঁকে বলে
গ. তরিতরকারির মতো তাকে লোকজন কিনতে চায় বলে
ঘ. তার জন্য মাসি-পিসিকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে

৪৬. জগু এলে মাসি-পিসি আহ্লাদিকে আনন্দের অভিনয় করতে শিখিয়ে দিতে চায় কেন?
ক. জামাইকে শান্ত রাখতে
খ. যাতে আহ্লাদিকে না নিতে চায় সেজন্য
গ. জামাইকে গোকুলের বিরুদ্ধে চড়াও হতে
ঘ. জগু যাতে মামলা না করে সেজন্য

৪৭. রান্না সেরে খাওয়ার আয়োজনের সময় বাইরে থেকে কার হাঁক আসে?
ক. দারোগা বাবুর
খ. ওসমান বৈদ্যের
গ. গোকুলের
ঘ. কানাই চৌকিদারের

৪৮. সরকার বাবুর সঙ্গে মাসি-পিসির ঝগড়া হয়েছে কি নিয়ে?
ক. আহ্লাদির বিয়ে নিয়ে
খ. বাজারের তোলা নিয়ে
গ. তরকারি বিক্রি নিয়ে
ঘ. বাজারে জায়গা দখল নিয়ে

৪৯. ডোবার ধারে কাঁঠাল গাছের ছায়ায় কত জন ঘুপটি মেরে বসে আছে?
ক. দুই-তিনজন
খ. তিন-চারজন
গ. চার-পাঁচজন
ঘ. সাত-আটজন

৫০. বৈদ্য ওসমানেরা ঘুপটি মেরে বসেছিল-
ক. আহ্লাদিকে ধরে নিতে
খ. মাসি-পিসিকে ধরে নিতে
গ. অতর্কিতে হামলা করতে
ঘ. বড় বাবু বলেছিল বলে

৫১. পিসি ঘর থেকে কী নিয়ে ফিরে আসে?
ক. বটি
খ. দা
গ. রামদা
ঘ. মস্ত কাটারি

৫২. মাসি-পিসির কাছারিবাড়ি যেতে না চাওয়ার কারণ-
ক. নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষা
খ. আহ্লাদির নিরাপত্তা
গ. নিজেদের বাড়িঘর রক্ষা
ঘ. জগুর নিষেধাজ্ঞা

৫৩. মাসি-পিসির মধ্যে ভয়ের লেশটুকু না দেখে ভ্যবাচেকা খেয়ে যায় কে?
ক. জগু
খ. কানাই
গ. গোকুল
ঘ. মাসি

৫৪. বাবাঠাকুর, ঘোষ মশাই, জনাদ্দন, কানুর মা, বংশী, বিপিন এরা কারা?
ক. পিসির জ্ঞাতি
খ. আহ্লাদির জ্ঞাতি
গ. মাসির জ্ঞাতি
ঘ. মাসিপিসির প্রতিবেশী

৫৫. মাসি-পিসি বুকে নতুন জোর পায় কেন?
ক. প্রতিবেশীরা তাদের সাথে আছে বলে
খ. সবাই কানাইয়ের ওপর রেগে আছে বলে
গ. সবার সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে বলে
ঘ. প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত¦না দিয়েছে বলে

৫৬. মাসি-পিসিরা ঘড়া থেকে জল দিয়ে গামলার কম্বল চুবিয়ে রাখে কেন?
ক. আগুনের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য
খ. আগুনের হাত থেকে ঘর রক্ষার জন্য
গ. আহ্লাদির জ্বর এলে মাথায দেওয়ার জন্য
ঘ. পরের দিন কম্বল ধোয়ার জন্য

৫৭. গল্পের শেষে মাসি-পিসি কিসের আয়োজন করে রখে?
ক. ঝগড়ার
খ. কোন্দলের
গ. যুদ্ধের
ঘ. মারামারির

৫৮. ‘মাসি-পিসি’ গল্পে ‘পাষাণ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যে অর্থে-
ক. শিলা
খ. পাথর
গ. হৃদয়হীন
ঘ. বাটখারা

৫৯. ‘খুনসুটি’ শব্দের অর্থ কী?
ক. খুন করার পর শুকিয়ে যাওয়া
খ. পাটকাঠি
গ. কাটবার অস্ত্র
ঘ. হাসি-তামাশাযুক্ত বিদায়-বিসম্বাদ বা ঝগড়া

৬০. ‘কাটারি’ শব্দের অর্থ কোনটি?
ক. কাটা তরকারি
খ. কাটবার অস্ত্র
গ. কাটাকাটি
ঘ. কাটা তার

“মাসি-পিসি” গল্পের সংক্ষিপ্তসার

গল্পটি দুই চরিত্র—মাসি এবং পিসি—নিয়ে আবর্তিত। মাসি ও পিসি একে অপরের বিপরীত স্বভাবের হলেও তাদের বন্ধন মজবুত। মাসি অত্যন্ত রাগী, অথচ পিসি মজার এবং সহজ-সরল। তারা একসঙ্গে মজার সব ঘটনা ঘটায়, যা কখনও হাস্যকর, কখনও শিক্ষণীয়। গল্পটি মানুষের সম্পর্কের জটিলতা এবং জীবনের ছোটখাটো ঘটনাকে সহজভাবে নেওয়ার শিক্ষা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button