রাসায়নিক নিরাপত্তা

রাসায়নিক পদার্থ নিরাপদে পরিবহণ, গুদামজাতকরন ও ব্যবহার পদ্ধতি

রাসায়নিক পদার্থ নিরাপদে পরিবহণের ক্ষেত্রে করনীয় – Chemical Transportation Regulations

রাসায়নিক পদার্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হয়। সেগুলো হলোঃ
  • রাসায়নিক পদার্থ পরিবহনের সময় তা যেন অতিরিক্ত ঝাকুনি বা নাড়াচাড়া প্রাপ্ত না হয় বা আছাড় না খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে,
  • পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা গাড়ি, ট্রলি বা সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত হতে হবে,
  • কন্টেইনার লিকেজ বা অগ্নি দূর্ঘটনার সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে,
  • রাসায়নিক পদার্থের ধরনের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত স্পিল কিট ব্যবহার করতে হবে এবং উক্ত কার্যপ্রক্রিয়া একজন অভিজ্ঞ লোক দ্বারা সম্পন্ন করতে হবে। কারন, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে যে কোন ঝুঁকি বা বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
 
 

রাসায়নিক পদার্থ গুদামজাতকরন ও ব্যবহার পদ্ধতি – Warehouse and Use of Chemical Materials

রাসায়নিক পদার্থ নিরাপদে গুদামজাতকরন ও ব্যবহারে জন্য নিন্মক্তো পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবেঃ
  • রাসায়নিক পদার্থ গুদামজাতকরনে সমতল ফ্লোর নির্বাচন করতে হবে,
  • উপযুক্ত সেনেন্ডারি ট্রে ও কন্টেনার ব্যবহার করতে হবে,
  • গুদামজাত করার পূর্বে সকল রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থের ধারক পাত্র লেবেলযুক্ত হতে হবে,
  • রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও সংরক্ষণের স্থান প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ করতে হবে,
  • রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের স্থানে খোলা বাতি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকতে হবে,
  • অধিক ঝুকিপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থের আলাদা তালিকা তৈরি করতে হবে,
  • বিপদজনকতার রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা, প্রকৃতি বিবেচনা করে পাত্র ও স্থান নির্বাচন করতে হবে,
  • উত্তম বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে,
  • অধিক ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না,
  • রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষনের স্থান নিরাপদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে,
  • রাসায়নিক পদার্থের সিলিন্ডার সংরক্ষণের জন্য নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক যে তার ছিপি লাগানো আছে এবং তা নিরাপত্তা বেষ্টনী দ্বারা আবদ্ধ আছে,
  • ইমারজেন্সি ড্রেন ইটিপি এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে,
  • পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক সামগ্রীর ব্যবস্থা থাকতে হবে,
  • কোন রাসায়নিক পদার্থ কতটুকু ক্ষতিকারক তার প্রতিকী চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে,
  • রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ এরিয়া, ব্যবহারের যায়গা ও পরিবহণ পথে নিরাপত্তা সাইন রাখতে হবে,
  • সকল রাসায়নিক পদার্থ সঠিক পরিবেশে সংরক্ষণ করতে হবে ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে,
  • রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক এলাকা থাকতে হবে,
  • সলিড ও লিকুউড রাসায়নিক পদার্থের ধরণ অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে,
  • রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের পূর্বে তা সঠিকভাবে পরিশোধন করতে হবে।
 
 
 
রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। সেগুলো হলোঃ
  • অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার,
  • এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা পরিবহন করা,
  • রাসায়নিক পদার্থের কণ্টেইনারের ঢাকনা খোলা,
  • গুদামজাতকরন ও সংরক্ষন করা,
  • খালি কণ্টেইনারের উত্তম ব্যবস্থাপনা,
  • এক পাত্র থেকে তা অন্য পাত্রে ঢালা,
  • পিপেটের সাহায্যে ক্যামিকেল ঢালা,
  • কাপড় বা সুতা ধোঁয়া,
  • রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থাপনা,
  • রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের সময় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা ও ব্যবহার।
তাছাড়া ক্যামিকেল ষ্টোরে কাজ করার সময় ধূমপান করা, কোন কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় এসবের মাধ্যমে ক্যামিকেল মানবদেহে প্রবেশকরে মারাত্নক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। সতর্কতার সাথে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে হবে। অনুবা তা বড় ধরনের দূর্যোগের সৃষ্টি করতে পারে।
 
 
রাসায়নিক পদার্থ স্থানান্তর, ব্যবহার ও নারাচাড়ার সময় সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরন (পিপিই) ব্যবহার করতে হয়। সে গুলো হলোঃ
  • ক্যামিকেল প্রতিরোধক হ্যান্ড গ্লাভস,
  • ক্যামিকেল প্রতিরোধক পোশাক,
  • নিরাপত্তা মাস্ক,
  • নিরাপত্তা চশমা,
  • ক্যামিকেল প্রতিরোধক গামবুট ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button