বহির্গমন পথ কি? – What is The Way Out?
যেকোন জরুরী অবস্থায় ভবন থেকে নিরাপদে বের হতে যে রাস্তা বা পথ ব্যবহার করা হয় তাকে বহির্গমন পথ বা এক্সিট রুট বলে। প্রয়োজন অনুসারে একটি ভবনের প্রতিটি কক্ষের এক বা একাদিক এক্সিট রুট থাকে।
বহির্গমন পথের দূরত্ব ও এক্সিটের দূরত্ব – Exit Travel Distance and Exit Distance
অনিধিক দ্বিতীয় তলা ভবনের ক্ষেত্রে প্রতি তলায় ৫০ জন হলে বহির্গমন পথের দূরত্ব ২৩ মিটারের অধিক হওয়া যাবে না। ইমারতের ফ্লোরের যে কোন স্থান হতে অনধিক ২৫ মিটারের মধ্যে জরুরী নির্গমন পথ থাকতে হবে এবং তা সিঁড়ির লবি ও লিফট লবি থেকে আলাদা ও নীচ তলার সাথে যুক্ত হতে হবে।
একই ভবনে একাদিক এক্সিট এর ক্ষেত্রে এক্সিট গুলি এরকম হতে হবে যে মেঝের ব্যবহ্রত অংশ হতে যে কোন ডোরের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৪৫ মিটার হয়।
বহির্গমন পথের বিধিমালা সমূহ – Rules of Exit Travels
● ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে সহজে দৃশ্যমান এক বা একাদিক স্থানে বহির্গমন পথের নকশা দেয়ালে টানিয়ে রাখতে হবে,
● তিন তলা বা তার চেয়ে কম তলা বিশিষ্ট ভবনের জন্য বহির্গমন পথ সর্বনিম্ন ১ঘন্টা অগ্নি প্রতিরোধক হতে হবে,
● চার তলা বা তার চেয়ে বেশী তলা বিশিষ্ট ভবনের জন্য এ পথ সর্বনিম্ন ২ঘন্টা অগ্নি প্রতিরোধক হতে হবে,
● ফ্লোরের অগ্নি নির্বাপণ ক্ষমতা অনুসারে উক্ত পথ অগ্নি নির্বাপক হতে হবে কিন্তু তা ২ঘন্টার বেশি নয়,
● প্রতিষ্ঠানের ভবনের প্রতিটি কক্ষ যেখানে ২০ জন বা তার অধিক লোক কাজ করে সেখানে ন্যূনতম ২টি বহির্গমন পথ থাকতে হবে,
● বহির্গমন পথ কোন ব্যক্তির কাজের স্থান থেকে ৫০মিটারের অধিক দূরত্বে হবে না,
● বহির্গমন পথের প্রস্থ ১.১৫ মিটার এবং উচ্চতা ২মিটারের কম হতে পারবে না,
● ভবনের মাঝের বহির্গমন সিঁড়িপথ ও বাঁকের শেষ প্রান্ত ভবনের বহিমুর্খী হতে হবে,
● বহির্গমন পথের দেয়াল,ফ্লোর ও সিলিং অগ্নি প্রতিরোধক নির্মান দ্বারা তৈরি হতে হবে, বহির্গমন ছাড়া অন্য কোন কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না,
● বহির্গমন পথ বাঁধা মুক্ত থাকতে হবে এবং এ পথের ধারণক্ষমতা কমানো যাবে না,
● উক্ত দরজা কখনো তালাবদ্ধ করা যাবে না,
● এ দরজার উভয়পাশে অবতরন ব্যবহার করতে হবে,
● বহির্গমনের প্রত্যেক দরজা সুইংগিং ফায়ার ডোর হতে হবে,
● কোন ভবনের, কোন ফ্লোরে বা অন্যত্র যত সংখ্যক লোক রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে বহির্গমন পথ হিসেব করতে হবে,
● একজন দখলকারীর জন্য কতটুকু জায়গা প্রয়োজন তা বি,এন,বি,ছি এর নির্ধারিত টেবিল অনুযায়ী হিসেব করতে হবে। টেবিলটি নিন্মরূপঃ
দখল | স্প্রিংকলার ব্যতিত বিল্ডিং(মি.মি.) | স্প্রিংকলারসহ বিল্ডিং (মি.মি.) | ||||
সিঁড়ি | র্যাম্প ও করিডোর | দরজা | সিঁড়ি | র্যাম্প ও করিডোর | দরজা | |
A আবাসিক B শিক্ষা বিষয়ক F বাণিজ্যিক H গুদামজাত | ৮ | ৫ | ৪ | ৫ | ৪ | ৪ |
C (C1,C2,C3) প্রাতিষ্ঠানিক | ১০ | ৫ | ৪ | ৫ | ৫ | ৪ |
C4 প্রাতিষ্ঠানিক | ৮ | ৫ | ৪ | ৮ | ৫ | ৪ |
D স্বাস্থসেবা | ২৫ | ১৮ | ১০ | ১৫ | ১২ | ১০ |
I সমাবেশ | ১০ | ৭ | ৫ | ৭ | ৫ | ৫ |
J বিপজ্জনক | ৮ | ৫ | ৪ | ৮ | ৫ | ৪ |
বহির্গমন সংকেত বা এক্সিট সাইন – Exit Sign
বহির্গমন সংকেত বা এক্সিট সাইন হলো আলো যুক্ত এমন এক প্রকার সংকেত বা চিহ্ন যা সঠিকভাবে, দ্রুত ও নিরাপদে দ্যুর্ঘটনা প্রবণ স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে আসতে সাহায্য করে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে সকল বিল্ডিং এ এক্সিট সাইন বা প্রস্থানের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
আলোযুক্ত বহির্গমন সংকেত এ ব্যাটারি ব্যাকআপ ও ইমারজ্যান্সি পাওয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এটি বহির্গমন পথের সামনে রাখতে হবে। যে সকল স্থান থেকে বহির্গমন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায় না সেখানে অতিরিক্ত এক্সিট সাইন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে পথ নির্দেশক সাইন থাকতে হবে।