অগ্নি নিরাপত্তা

ফায়ার লিফট ও ধূমপান – ফায়ার লিফটের বিবেচ্য বিষয় ও ভবনে ধূমপান বিষয়ে আইন

ফায়ার লিফট – Fire Lift

ফায়ার লিফট (Fire Lift) এমন একটি লিফট যা শুধুমাত্র আগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে ব্যবহার করা হয়। এটি নিচ তলার সাথে যুক্ত থাকে ও নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির হাতে এর নিয়ন্ত্রন থাকে।
 
 
ফায়ার লিফটের বিবেচ্য বিষয় বা বিধান সমূহঃ
● ২০ মিটারের অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট ভবনে ফায়ার লিফট ব্যবহার করতে হবে,
● গ্রাউন্ড ফ্লোর বা সমতল ভূমি থেকে অটোমেটেড হতে হবে,
● এটি ন্যূনতম ৮ জন ধারণক্ষমতার হতে হবে,
● দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে,
● এ লিফট পরিচালনার জন্য একজন নির্দিষ্ট করা থাকবে কিন্তু আগুন লাগলে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফায়ার ম্যান এটি নিয়ন্ত্রণ করবে,
● কোন স্থানে ফায়ার লিফট হবে ও কয়টি প্রয়োজন তা নির্ভর করবে কতটুকু জায়গা আছে ও মোট কতজন কাজ করে।
 
 

ধূমপান – Smoking

সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে প্রতি বছর ছোট বা বড় রকমের অগ্নিপাতের সূত্র হয়। তাই ভবনের ভেতরে ও তার আশেপাশে যেখানে বিপদ জনক রাসায়নিক পদার্থ, দাহ্য পদার্থ বা গুদাম ঘর রয়েছে সে স্থান চিহ্নিত করণ পূর্বক উক্ত স্থানে ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা স্মোকিং জোন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
 
 
ভবনে ধূমপান নিষেধের বিষয়ে যে সকল আইন ও নীতি রয়েছে সে গুলো হলঃ
● সকল ভবনের প্রবেশ পথে বা মুখে “ধূমপান নিষেধ” লিখা সম্বলিত সাইন প্রদর্শন করতে হবে,
● যে কোন কারখানায় যেখানে আলাদা স্টোরেজ রয়েছে সেখানে ধূমপান নিষিদ্ধ করতে হবে,
● ধূমপান নিষেধ সম্বলিত পোষ্টার দেয়ালে স্থাপন করতে হবে,
● ভবনের বাহিরে এক বা একাদিক স্থানে ধূমপানের জন্য যদি আলাদা স্থান নির্ধারন করা হয় তবে তার অবস্থান ও অন্যান্য তথ্য ধূমপান নিষেধ সাইন বোর্ডে উল্লেখ করতে হবে,
● পরিদর্শক যে সকল স্থানকে বিপদজ্জনক বলে চিহ্নিত করবেন সে সকল স্থানে ধূমপান নিষেধ করে প্রয়োজনে উপযুক্ত প্রতিক বা চিহ্ন (যেমনঃদেয়াশলাই,গ্যাস লাইটার ইত্যাদি) ব্যবহার করে নিষেধ করতে হবে এবং আগুন লাগার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গৃহীতব্য সাবধানতা সম্পর্কে নোটিস সকলের দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় এমন স্থানে টানাতে হবে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button