ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের নিয়ম
ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করে আগুন নেভাতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে আগুনের ধরণ। ধরণ অনুসারে এক্সটিংগুইসারটি নির্ধারিত স্থান হতে ক্যারি হ্যান্ডেল ধরে নিয়ে আসতে হবে। সেফটি পিনটি খুলে আগুনের উৎসের দিকে তাক করে ধরুন। এবার হ্যান্ডেলে চাপ দিলেই অগ্নি নির্বাপক পদার্থ বের হয়ে আগুন নিভে যাবে।
পুরো বিষটি আরও সুন্দর করে বুঝতে ও মনে রাখতে “PASS” শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হলোঃ
P = PULL the pin (সেফটি পিনটি টেনে খুলুন)
A = AIM nozzle at base of fire (নজেলকে আগুনের উৎসের দিকে তাক করুন)
S = SQUEEZE the handle (হাতলের লিডারকে চাপ দিন)
S = SWEEP nozzle side to side (নজেলকে সঠিক ভাবে ঘুরিয়ে আগুন নেভান)
বিঃদ্রঃ পর্টেবল ফায়ার এক্সটেংগিসার ব্যবহারের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ২ থেকে ৩ মিটার দূরে থেকে সাবধনতার সাথে ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিভে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে তা চালিয়ে যেতে হবে।
আগুন নিভে গেলে আগুনের চারপাশ পুনরায় আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোথাও কোন আগুন অবশিষ্ট রয়েছে কিনা। কারন ছোট-খাটো কোন আগুন বা ফুল্কির কারনে পুনরায় আগুন জ্বলে উঠতে পারে।
ফায়ার এক্সটিংগুইশার কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ফায়ার এক্সটিংগুইশার চার প্রকার। যথাঃ
১. ডিসিপি (Dry Chemical Powder – DCP)
২. সিওটু (C)
৩. ফোম টাইপ (Foam Type)
৪. ওয়াটার টাইপ (Water Type)
আগুন নেভাতে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ আগুন নেভাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার এক্সটিংগুইশার দাম
উত্তরঃ ফায়ার এক্সটিংগুইশার দাম ক্যামিকেলের ধরন অনুযায়ী ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।